More

    বিচ্ছেদ গুঞ্জনের জবাব দিলেন পূর্ণিমা

    জনপ্রিয় চিত্রনায়িকা

    পূর্ণিমা

    ও তাঁর স্বামী

    আশফাকুর রহমান রবিনকে

    ঘিরে সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে একটি অপ্রত্যাশিত গুঞ্জন ছড়িয়ে পড়েছিল, যা ভক্ত ও শুভাকাঙ্ক্ষীদের মধ্যে কৌতূহল এবং উদ্বেগ সৃষ্টি করে। এই জল্পনা-কল্পনার সূত্রপাত হয়েছিল স্বয়ং নায়িকার একটি ফেসবুক স্ট্যাটাস থেকে, যা পরবর্তীতে বিচ্ছেদ বিষয়ক নানান মন্তব্যের জন্ম দেয়। পরিস্থিতি দ্রুত ঘোলাটে হয়ে উঠলে এবং বিষয়টি নিয়ে নেট দুনিয়ায় ব্যাপক আলোচনা শুরু হলে, অবশেষে নীরবতা ভাঙতে বাধ্য হন এই গুণী অভিনেত্রী।

    গুঞ্জনের সূত্রপাত এবং পূর্ণিমার ব্যাখ্যা

    দিন কয়েক আগে

    পূর্ণিমা

    তাঁর ব্যক্তিগত ফেসবুক অ্যাকাউন্টে একটি সাধারণ পোস্ট দিয়েছিলেন, যেখানে তিনি সম্পর্কের টানাপোড়েন এবং স্বার্থপর মানুষের প্রসঙ্গ তুলে ধরেছিলেন। এই পোস্টটিই নেটিজেনদের একাংশ ভুলভাবে ব্যাখ্যা করে তাঁর পারিবারিক জীবনের সঙ্গে মিলিয়ে ফেলে, যার ফলস্বরূপ শুরু হয় বিচ্ছেদের গুঞ্জন। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের দ্রুত গতিতে খবরটি ছড়িয়ে পড়ে এবং তা মূলধারার অনলাইন সংবাদমাধ্যমেও স্থান করে নেয়, যেখানে সত্যতা যাচাই না করেই চটকদার শিরোনামে খবর প্রকাশিত হয়। এই পরিস্থিতি

    পূর্ণিমা

    ও তাঁর পরিবারের জন্য যথেষ্ট বিব্রতকর এবং মর্মাহত করার মতো ছিল।

    বিষয়টি নিয়ে জনসাধারণের মধ্যে ভুল ধারণা প্রকট আকার ধারণ করায়, শনিবার বিকালে

    পূর্ণিমা

    তাঁর ফেসবুক অ্যাকাউন্টে একটি বিস্তারিত পোস্টের মাধ্যমে আগের স্ট্যাটাসটির ব্যাখ্যা প্রদান করেন। এই পোস্টে তিনি তাঁর স্বামী

    আশফাকুর রহমান রবিনকে

    ট্যাগ করে স্পষ্ট করে দেন যে, গুঞ্জন সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন।

    সম্পর্কের জটিলতা ও মানবিক উপলব্ধির প্রকাশ

    নিজের ব্যাখ্যায়

    পূর্ণিমা

    লেখেন, “সুদিনে মানুষের বন্ধুর অভাব হয় না। এদের অধিকাংশই হচ্ছে সুযোগসন্ধানী কৃত্রিম বন্ধু। এরা সব সময়ই নিজের স্বার্থ উদ্ধারে ব্যতিব্যস্ত থাকে। দুর্দিনে এদের খুঁজে পাওয়া ভার!” তিনি বোঝাতে চেয়েছেন যে, তাঁর পূর্বের স্ট্যাটাসটি আসলে মানবিক সম্পর্কের এই চিরন্তন সত্যটিকেই তুলে ধরেছিল। প্রতিটি মানুষের জীবনেই এমন ঘটনা ঘটে, আর তিনি নিজেও এর ব্যতিক্রম নন। একজন মানুষ হিসেবে তাঁর চারপাশে যা কিছু ঘটে, তারই প্রতিফলন ছিল সেই স্ট্যাটাসটি।

    পূর্ণিমা

    আরও উল্লেখ করেন, “দিনশেষে আমিও একজন মানুষ। সবার মতো আমারও কমবেশি কাছের-দূরের মানুষ রয়েছে।”

    তিনি তাঁর পোস্টে আরও যোগ করেন, “এ কারণে আমাকেও সুসময়ের বন্ধু ও স্বার্থপরদের ফেইস করতে হয়েছে। কিন্তু লেখাটির কিছু অংশ আগে পিছে না বুঝে অনেকে আমার পারিবারিক জীবনের সাথে মিলিয়ে ফেলেছে!” এই ভুল ব্যাখ্যার কারণে কিছু সংবাদমাধ্যম

    সত্যতা নিশ্চিত না করেই

    চটকদার শিরোনামে সংবাদ প্রকাশ করে, যা তাঁর ও তাঁর পরিবারকে বিস্মিত ও গভীরভাবে মর্মাহত করেছে। এই ধরনের অবিবেচক সংবাদ প্রকাশ ব্যক্তিজীবনে যে কতটা নেতিবাচক প্রভাব ফেলে, তা তাঁর লেখায় স্পষ্টভাবে ফুটে উঠেছে।

    পারিবারিক জীবনের অবিচলতা এবং কৃতজ্ঞতা

    নিজের পারিবারিক জীবন সম্পর্কে সকল ভুল ধারণা দূর করে

    পূর্ণিমা

    জোর দিয়ে লেখেন, “আমার দেওয়া স্ট্যাটাসের সাথে পারিবারিক জীবনের কোনো সম্পর্ক নেই। আপনাদের দোয়া ও ভালোবাসায় আমরা আমাদের পরিবার ও সংসার জীবন নিয়ে

    আলহামদুলিল্লাহ

    অনেক ভালো আছি।” এই কথাগুলো তাঁর বৈবাহিক জীবনের দৃঢ়তা এবং পারিবারিক সুখের প্রতিচ্ছবি তুলে ধরে। তিনি জানান, শুভাকাঙ্ক্ষীদের ভালোবাসা এবং সৃষ্টিকর্তার রহমতে তাঁরা সুখে দিন কাটাচ্ছেন।

    দীর্ঘ অভিনয় জীবনে

    পূর্ণিমা

    দেশ-বিদেশের অগণিত মানুষের ভালোবাসা এবং সংবাদকর্মীদের অকুণ্ঠ সমর্থন পেয়েছেন। তিনি আশা প্রকাশ করেন যে, আগামীতেও এই ভালোবাসার ধারা অব্যহত থাকবে এবং পেশাদারিত্বের সঙ্গে তাঁর প্রতি সকলের সমর্থন বজায় থাকবে। তাঁর এই স্পষ্টীকরণ সকল গুঞ্জনের অবসান ঘটিয়ে তাঁর ব্যক্তিগত ও পারিবারিক জীবনের প্রতি সম্মান প্রদর্শনের আহ্বান জানায়।

    Recent Articles

    Related Stories

    Leave A Reply

    Please enter your comment!
    Please enter your name here