বলিউডের জনপ্রিয় অভিনেত্রী জাহ্নবী কাপুর সম্প্রতি এক চাঞ্চল্যকর স্বীকারোক্তি দিয়েছেন, যা বিনোদন জগতের অন্দরমহলের জটিল লিঙ্গ বৈষম্যকে প্রকাশ্যে এনেছে। তার এই মন্তব্য ঘিরে শুরু হয়েছে নতুন আলোচনা। তিনি জানিয়েছেন, পেশাদার জীবনে পুরুষদের স্বাচ্ছন্দ্য বজায় রাখতে নাকি তিনি প্রায়শই নিজেকে ‘বোকা’ প্রমাণ করেন। এই কৌশলকে তিনি ‘পুরুষতান্ত্রিক’ ইন্ডাস্ট্রিতে টিকে থাকার একটি অপরিহার্য উপায় হিসেবে বর্ণনা করেছেন।
“বোকা সাজার” কৌশল: পুরুষতান্ত্রিক ইন্ডাস্ট্রিতে টিকে থাকার লড়াই
সম্প্রতি এক জনপ্রিয় অনুষ্ঠানে এসে, যেখানে উপস্থিত ছিলেন বর্ষীয়ান অভিনেত্রী টুইঙ্কেল খান্না ও কাজল, সেখানেই জাহ্নবী কাপুর অকপটে এই বিষয়টি তুলে ধরেন। তার কথায়, “আমি অবগত যে, আমি একটি সুবিধাপ্রাপ্ত অবস্থান থেকে এসেছি।” তিনি স্বীকার করেন যে বর্তমানে তিনি নিজের পছন্দ-অপছন্দ স্পষ্টভাবে ব্যক্ত করতে পারলেও, একসময় এমন বহু পরিস্থিতিতে পড়তে হয়েছে যেখানে নিজেকে স্বল্পবুদ্ধির পরিচয় দিয়ে রাখতে বাধ্য হয়েছেন। এটি ছিল মূলত আত্মরক্ষার একটি কৌশল।
জাহ্নবীর এমন অকপট মন্তব্য শুনে টুইঙ্কেল খান্নাও তার নিজের শুরুর দিকের অভিজ্ঞতার কথা স্মরণ করেন। তিনি জানান, ক্যারিয়ারের প্রারম্ভিক পর্যায়ে তিনিও একই ধরনের কৌশল অবলম্বন করতেন। এই প্রসঙ্গে জাহ্নবী আরও উল্লেখ করেন যে, বর্তমান সময়েও কিছু ক্ষেত্রে যখন কোনো সিনেমার দৃশ্য তার মনঃপুত হয় না, তখন তিনি সরাসরি নিজের অপছন্দের কথা বলতে পারেন না। এর পরিবর্তে, নিজের অক্ষমতা অথবা দৃশ্যটি বোঝার ব্যর্থতাকে ঢাল হিসেবে ব্যবহার করেন।
এই সূক্ষ্ম কৌশলের বিশদ ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে জাহ্নবী বলেন, “আমি এখনও এই লড়াই চালিয়ে যাচ্ছি।” তিনি জোর দিয়ে বলেন যে, একাধিক যুক্তিযুক্ত ও গঠনমূলক আলোচনার পর তাকে ভান করতে হয় যে তিনি আসলে পরিস্থিতিটি অনুধাবন করতে পারেননি, অথবা ঐ দৃশ্যে অভিনয় করার মতো যোগ্যতা তার নেই। অথচ এর পেছনের মূল কারণটি সম্পূর্ণ ভিন্ন – তিনি কেবল সেই বিশেষ দৃশ্যে অভিনয় করতে চান না। সরাসরি দৃশ্যটিকে ‘জঘন্য’ না বলে, তিনি নিজেকেই অপ্রস্তুত বা অপারগ হিসেবে উপস্থাপন করেন। এটি একটি নীরব প্রতিবাদ এবং একইসাথে নিজের অবস্থান বজায় রাখার এক সুচতুর পন্থা।
উল্লেখ্য, অভিনেত্রী জাহ্নবী কাপুর বিগত বছরগুলোতে বেশ কয়েকটি সফল সিনেমায় অভিনয় করেছেন। তার সাম্প্রতিক মুক্তিপ্রাপ্ত কাজগুলোর মধ্যে রয়েছে সিনেমা ‘সনি সংস্কারী কি তুলসী কুমারী’ এবং ‘পরম সুন্দরী’। এই কাজগুলো তাকে দর্শক ও সমালোচক মহলে আরও বেশি পরিচিতি এনে দিয়েছে।
