ঢালিউডের অন্যতম জনপ্রিয় ও গ্ল্যামারাস অভিনেত্রী নুসরাত ফারিয়া তার অনবদ্য অভিনয় এবং স্টাইলিশ উপস্থিতির মাধ্যমে অল্প সময়েই দর্শকদের হৃদয়ে বিশেষ স্থান করে নিয়েছেন। রূপে-গুণে অনন্য এই তারকা শুধু রূপালী পর্দাতেই নয়, বরং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও তার ভক্তদের সঙ্গে গভীর সম্পর্ক বজায় রাখেন। তিনি নিয়মিতভাবে তার জীবনের নানা মুহূর্ত ও অভিজ্ঞতা অনুরাগীদের সাথে ভাগ করে নেন। সম্প্রতি কানাডায় অনুষ্ঠিত ৩৯তম ফোবানা সম্মেলনে তার সরব উপস্থিতি এবং মনোমুগ্ধকর পরিবেশনা ছিল আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে।
কানাডায় ফারিয়ার উজ্জ্বল উপস্থিতি ও সহকর্মীর প্রতি উচ্ছ্বাস
কানাডার মাটিতে আয়োজিত প্রবাসী বাংলাদেশিদের অন্যতম বৃহৎ সাংস্কৃতিক মিলনমেলা ৩৯তম ফোবানা সম্মেলনে নুসরাত ফারিয়ার অংশগ্রহণ ছিল খুবই তাৎপর্যপূর্ণ। এই আন্তর্জাতিক মঞ্চে তিনি তার শিল্প নৈপুণ্য প্রদর্শন করেন এবং নৈশকালীন গালা অনুষ্ঠানে তার পারফরম্যান্স উপস্থিত সকলের নজর কাড়ে। সেই বর্ণাঢ্য সফরেরই এক বিশেষ অভিজ্ঞতা বর্ণনা করতে গিয়ে, ফারিয়া অকপটে তার দীর্ঘদিনের সহকর্মী ও জনপ্রিয় চিত্রনায়ক জায়েদ খানের ভূয়সী প্রশংসা করেন। তার বক্তব্যে উঠে আসে জায়েদ খানের ব্যক্তিগত আকর্ষণীয় দিক এবং তাদের কাজের রসায়ন।
অভিনেত্রী জায়েদ খানের শারীরিক পরিবর্তন প্রসঙ্গে বলেন, “জায়েদ ভাই সত্যিই একজন মিষ্টি মনের মানুষ। তবে আজকাল তিনি যেন আরও বেশি আকর্ষণীয় হয়ে উঠছেন। তার এই পরিবর্তন সত্যিই চোখে পড়ার মতো। মনে হয়, তিনি দিন দিন আরও বেশি ওয়ার্কআউট করছেন, যা তার লুকে এক নতুন মাত্রা যোগ করেছে।” ফারিয়ার মতে, এই পরিবর্তনের ফলস্বরূপ জায়েদ খান বর্তমানে বাংলাদেশের তরুণী মহলে এক নতুন ক্রেজ হয়ে উঠেছেন। তিনি হাসিমুখে যোগ করেন, “আমার মনে হয়, বাংলাদেশের সব মেয়েদেরই এখন ফেভারিট হয়ে গেছেন জায়েদ ভাই।”
জায়েদ খানের ব্যক্তিত্ব ও কাজের অভিজ্ঞতা
জায়েদ খানের বাহ্যিক পরিবর্তনের পাশাপাশি তার চারিত্রিক গুণাবলী নিয়েও কথা বলেন নুসরাত ফারিয়া। তিনি জোর দিয়ে বলেন, “এর আগেও তো তিনি ফিট ছিলেন, তবে এখন তিনি যেন আরও বেশি সুঠাম ও ফিট হয়েছেন। জায়েদ ভাইয়ের সঙ্গে কাজ করা সবসময়ই আনন্দের। তিনি এমন মন খোলা ও প্রাণবন্ত একজন মানুষ যে, কারো মন খারাপ থাকলেও তার সঙ্গে কিছুক্ষণ কথা বললেই মন ভালো হয়ে যায়।” তার এই মন্তব্যে জায়েদ খানের ইতিবাচক ও অনুপ্রেরণাদায়ক ব্যক্তিত্বের প্রতিফলন ঘটে, যা কাজের পরিবেশকে আরও আনন্দময় করে তোলে।
মন্ট্রিয়ালে কাজের একটি বিশেষ মুহূর্তের স্মৃতিচারণ করে নুসরাত ফারিয়া বলেন, “একবার তার প্রোগ্রামে যখন বলা হলো— চল, মন্ট্রিয়ালে হাঁটতে হাঁটতে আমরা শুটটা করে ফেলি, তখন আমি সত্যি গভীর আগ্রহ ও খুশি হয়েছিলাম।” এই অভিনব প্রস্তাবটি তার মনে বেশ আনন্দ দিয়েছিল। তিনি আরও বলেন, “এর পাশাপাশি আমি অনেক মজা করেছিলাম। তবে সেই ফান পার্টগুলো আপনাদের দেখাইনি, কারণ সেগুলো এডিট করে দেওয়া হয়েছে।” ফারিয়ার এই উক্তি তাদের কাজের সময়কার বন্ধুত্ব ও সহজ সম্পর্কের ইঙ্গিত দেয়, যা ক্যামেরার সামনে এবং পেছনে উভয় স্থানেই সমানভাবে বিদ্যমান ছিল। এই অভিজ্ঞতা প্রমাণ করে যে, তাদের পেশাগত সম্পর্ক শুধু কাজের মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়, বরং ব্যক্তিগত স্তরেও তারা একে অপরের সাথে বেশ স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেন।
