আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রাক্কালে ঢাকা-৮ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারী ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরীফ ওসমান হাদি এক অপ্রত্যাশিত ও বিরূপ পরিস্থিতির সম্মুখীন হয়েছেন। তার নির্বাচনি প্রচারণার সময় রাজধানীর মতিঝিল এলাকার এজিবি কলোনিতে একদল অজ্ঞাত ব্যক্তি তার সহকর্মী ও সাংবাদিকদের লক্ষ্য করে ময়লা পানি নিক্ষেপ করেছে, যা ব্যাপক সমালোচনার জন্ম দিয়েছে। এই ঘটনা গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় অশোভন হস্তক্ষেপ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।
প্রচারণায় ঘটে যাওয়া অপ্রীতিকর ঘটনা
গত শনিবার (১৫ নভেম্বর) মতিঝিলের এজিবি কলোনিতে যখন শরীফ ওসমান হাদি তার নির্বাচনি বার্তা নিয়ে সাধারণ ভোটারদের কাছে যাচ্ছিলেন, তখনই এই অপ্রীতিকর ঘটনাটি ঘটে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া একটি ভিডিওতে দেখা যায়, এমন অপ্রত্যাশিত পরিস্থিতিতেও শরীফ ওসমান হাদি আশ্চর্যজনকভাবে শান্ত ও সংযত ছিলেন। তাকে ভিডিওতে বলতে শোনা যায়, “ভাই, ময়লা পানি যে মারছেন আরও মারতে পারেন, সমস্যা নেই মারেন। তিনবার মেরেছেন ময়লা পানি। ময়লা পানি মেরে যদি আপনাদের শান্তি হয়, তাহলে মারেন।” তার এই বক্তব্য ঘটনার তীব্রতা এবং একইসাথে তার দৃঢ় মানসিকতার পরিচয় বহন করে।
প্রার্থীর প্রতিক্রিয়া এবং অভিযোগ
ঘটনাটি নিশ্চিত করে একটি জাতীয় দৈনিককে শরীফ ওসমান হাদি জানান, এই আক্রমণ কেবল তার সঙ্গীদের ওপর নয়, বরং তার ওপরই সরাসরি আঘাত। তিনি বলেন, “আমার সঙ্গে আসা সাংবাদিকদের গায়ে ময়লা পানি ছুড়ে মারা হয়েছে। যেহেতু সাংবাদিকরা আমার নির্বাচনি প্রচারণা কভার করতে এসেছিলেন, তাদের গায়ে ময়লা পানি ছুড়ে মারা মানে আমার গায়েই মারা।” তিনি আরও জোর দিয়ে বলেন যে, পরপর তিনবার এমন ঘটনা ঘটানো হয়েছে, যা স্পষ্টতই প্রমাণ করে এটি একটি ইচ্ছাকৃত এবং বিদ্বেষপূর্ণ কাজ। হাদি এই ধরনের ঘটনাকে নির্বাচন ও গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার জন্য অনাকাঙ্ক্ষিত ও অশোভন হিসেবে আখ্যায়িত করেন, যা সুষ্ঠু নির্বাচনি পরিবেশের পরিপন্থী।
ঢাকা-৮ আসনের প্রার্থী ও তাঁর নির্বাচনী এলাকা
ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরীফ ওসমান হাদি আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঢাকা-৮ আসন থেকে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এই গুরুত্বপূর্ণ আসনে রাজধানী ঢাকার প্রাণকেন্দ্র শাহবাগ, মতিঝিল, রমনা, পল্টন এবং শাহজাহানপুর এলাকার অন্তর্ভুক্ত। এমন একটি গুরুত্বপূর্ণ আসনে প্রার্থীর প্রচারণায় এই ধরনের আক্রমণ সুষ্ঠু ও অবাধ নির্বাচনের অঙ্গীকারকে প্রশ্নের মুখে ঠেলে দেয়। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের উচিত এই ধরনের ঘটনা তদন্ত করে দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা এবং সকল প্রার্থীর জন্য একটি নিরাপদ নির্বাচনি পরিবেশ নিশ্চিত করা, যাতে গণমাধ্যম কর্মীরাও নির্বিঘ্নে তাদের দায়িত্ব পালন করতে পারেন।
