রুদ্ধশ্বাস এক ম্যাচে নিউজিল্যান্ডকে পরাভূত করে আসন্ন বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে নিজেদের জায়গা পাকা করেছে শক্তিশালী ভারত। বৃষ্টির কারণে বিঘ্নিত হওয়া এই গুরুত্বপূর্ণ লড়াইয়ে নিউজিল্যান্ডকে ৫৩ রানের ব্যবধানে হারিয়ে টুর্নামেন্টের চতুর্থ দল হিসেবে শেষ চারের টিকিট নিশ্চিত করল ভারতীয় দল। এই জয় কেবল ভারতের সেমিফাইনাল যাত্রা নিশ্চিতই করেনি, বরং বিশ্ব মঞ্চে তাদের অপ্রতিরোধ্য ফর্মের ইঙ্গিতও দিয়েছে।
সেমিফাইনালের চিত্র ও অন্যান্য প্রতিদ্বন্দ্বী
ভারত ইতিমধ্যেই অস্ট্রেলিয়া, দক্ষিণ আফ্রিকা এবং ইংল্যান্ডের মতো শক্তিশালী দলগুলোর সাথে সেমিফাইনালের দৌড়ে যুক্ত হয়েছে। তবে, গ্রুপ পর্বে প্রতিটি দলের এখনও একটি করে ম্যাচ বাকি থাকায় পয়েন্ট তালিকার শীর্ষ তিনটি স্থান কার দখলে যাবে, তা এখনও পুরোপুরি নিশ্চিত হয়নি। এই অনিশ্চয়তার কারণে সেমিফাইনাল পর্বে কোন দল কার মুখোমুখি হবে, সে বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত জানতে আরও কিছুটা অপেক্ষা করতে হবে ক্রিকেটপ্রেমীদের। প্রতিটি ম্যাচের ফলাফলই এখন গুরুত্বপূর্ণ হয়ে দাঁড়িয়েছে সেমিফাইনাল লাইন-আপ নির্ধারণের জন্য।
ভারতের রানের পাহাড়: ব্যাট হাতে দাপট
বৃহস্পতিবার অনুষ্ঠিত এই ম্যাচে টসে হেরে প্রথমে ব্যাট করার সুযোগ পায় স্বাগতিক ভারত। পিচে নেমেই শুরু হয় তাদের বিধ্বংসী ব্যাটিংয়ের প্রদর্শনী। স্মৃতি মান্ধানা এবং প্রতীকা রাওয়ালের অসাধারণ জোড়া সেঞ্চুরির সুবাদে নির্ধারিত ওভারে মাত্র ৩ উইকেট হারিয়ে ভারত সংগ্রহ করে বিশাল ৩৪০ রান। কিউই বোলারদের উপর রীতিমতো স্টিমরোলার চালিয়েছেন এই দুই ব্যাটার।
- দলের হয়ে এক দুর্দান্ত ইনিংসে প্রতীকা রাওয়াল ১৩৪ বলে ১৩টি চার ও দুটি ছক্কার সাহায্যে অসাধারণ ১২২ রান সংগ্রহ করেন। তার স্ট্রোকপ্লে ছিল মনোমুগ্ধকর।
- অন্যদিকে, স্মৃতি মান্ধানা ৯৪ বলে ১০টি চার ও ৪টি ছক্কার সাহায্যে করেন ঝকঝকে ১০৯ রান। তার ব্যাটিংয়ে ছিল একইসাথে আগ্রাসন ও দৃষ্টিনন্দন শৈলী।
- এছাড়াও, ব্যাট হাতে ঝড় তোলেন জেমিমা। মাত্র ৫৫ বলে ১১টি বাউন্ডারির সাহায্যে অপরাজিত ৭৭ রানের এক কার্যকরী ইনিংস খেলে দলের বিশাল সংগ্রহে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখেন তিনি।
বৃষ্টি বিঘ্নিত লক্ষ্য এবং কিউইদের ব্যর্থতা
বৃষ্টির কারণে ম্যাচের গতিপথ কিছুটা পরিবর্তিত হয়। ডাকওয়ার্থ-লুইস-স্টার্ন (DLS) পদ্ধতি প্রয়োগের ফলে নিউজিল্যান্ডের সামনে ৪৪ ওভারে জয়ের জন্য ৩২৫ রানের সংশোধিত লক্ষ্য নির্ধারিত হয়। এই বিশাল রান তাড়া করতে নেমে নিউজিল্যান্ডের ব্যাটাররা শুরু থেকেই চাপে ছিলেন। ভারতীয় বোলারদের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ের সামনে তারা নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকে এবং শেষ পর্যন্ত ৮ উইকেট হারিয়ে ২৭১ রানের বেশি সংগ্রহ করতে পারেনি। ফলস্বরূপ, বৃষ্টি আইনে ভারত ৫৩ রানের এক দাপুটে জয় নিশ্চিত করে এবং তাদের সেমিফাইনাল যাত্রা মসৃণ হয়।
