আসন্ন এএফসি এশিয়ান কাপ বাছাইপর্বের গুরুত্বপূর্ণ লড়াইয়ে মাঠে নামার আগে নিজেদের কৌশল ও প্রস্তুতি ঝালিয়ে নিতে একটি উত্তেজনাপূর্ণ প্রীতি ম্যাচে আফগানিস্তান জাতীয় ফুটবল দলের মুখোমুখি হতে যাচ্ছে বাংলাদেশ। ফুটবলপ্রেমীদের জন্য এই প্রস্তুতি ম্যাচের আকর্ষণ আরও বাড়িয়ে দিয়েছে দেশের ফুটবলের অন্যতম উজ্জ্বল নক্ষত্র, প্রবাসি তারকা হামজা চৌধুরীর অংশগ্রহণ নিশ্চিত হওয়ার খবর।
১৩ নভেম্বর আফগানিস্তানের বিপক্ষে প্রীতি ম্যাচ: হামজা চৌধুরীর মাঠে নামা নিশ্চিত
বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে) সূত্রে নিশ্চিত করা হয়েছে যে, বহু প্রতীক্ষিত এই আন্তর্জাতিক প্রীতি ম্যাচটি আগামী ১৩ নভেম্বর, মঙ্গলবার রাত ৮টায় ঢাকার ঐতিহ্যবাহী বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত হবে। এই ম্যাচটি শুধুমাত্র একটি অনুশীলনমূলক খেলা নয়, বরং এটি জাতীয় দলের শক্তি, সংহতি এবং কৌশলগত পরিকল্পনার চূড়ান্ত মূল্যায়নের এক গুরুত্বপূর্ণ মঞ্চ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।
এই চাঞ্চল্যকর খবরটি নিশ্চিত করেছেন বাফুফের কার্যনির্বাহী কমিটির সম্মানিত সদস্য এবং বাংলাদেশের ফুটবল ইতিহাসের এক সময়ের তারকা ফরোয়ার্ড, ইকবাল হোসেন। তিনি সাংবাদিকদের বিস্তারিত তথ্য জানিয়ে বলেন, “এটি এখন চূড়ান্ত যে, আগামী ১৮ নভেম্বর ভারতের বিপক্ষে এশিয়ান কাপ বাছাইয়ের মহাগুরুত্বপূর্ণ ম্যাচের আগে আফগানিস্তানের শক্তিশালী দলের সঙ্গে আমাদের প্রীতি ম্যাচে হামজা চৌধুরী অবশ্যই মাঠে নামবেন। তার বর্তমান ক্লাবের কর্তৃপক্ষের সঙ্গে এ বিষয়ে সফল আলোচনা সম্পন্ন হয়েছে এবং তাদের কাছ থেকে খেলার জন্য ইতিবাচক সম্মতি আমরা পেয়েছি।” হামজা চৌধুরীর মতো আন্তর্জাতিক মানের একজন খেলোয়াড়ের উপস্থিতি নিঃসন্দেহে দলের আক্রমণভাগে নতুন গতি আনবে এবং তরুণ খেলোয়াড়দের আত্মবিশ্বাসকে বহুগুণে বৃদ্ধি করবে বলে আশা করা হচ্ছে।
তবে, ফুটবলপ্রেমীদের মাঝে কৌতুহল তৈরি হয়েছে হামজা চৌধুরীর ঢাকায় আগমনের সুনির্দিষ্ট দিনক্ষণ নিয়ে। ইকবাল হোসেন আরও উল্লেখ করেন যে, ১৩ নভেম্বরের ম্যাচের জন্য হামজা কবে নাগাদ বাংলাদেশে এসে দলের সঙ্গে যোগ দেবেন, সেই সুনির্দিষ্ট তারিখ ও সময় এখনও চূড়ান্তভাবে নির্ধারিত হয়নি। বাফুফে এই প্রক্রিয়াটি দ্রুততার সাথে সম্পন্ন করার জন্য কাজ করছে, যাতে তারকা এই ফুটবলার দলের অন্যান্য সদস্যদের সঙ্গে যথেষ্ট অনুশীলন করার সুযোগ পান এবং ম্যাচের জন্য পুরোপুরি প্রস্তুত থাকতে পারেন।
এই প্রীতি ম্যাচটি আসন্ন এএফসি এশিয়ান কাপ বাছাইপর্বে বাংলাদেশের সাফল্য অর্জনে একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে বলে বিশ্লেষকরা মনে করছেন। আফগানিস্তানের মতো শারীরিক ও কৌশলগতভাবে শক্তিশালী প্রতিপক্ষের বিপক্ষে খেলে নিজেদের দুর্বলতাগুলো চিহ্নিত করে সেগুলোর উপর কাজ করার সুযোগ পাবে জাতীয় দল, যা মূল বাছাইপর্বের লড়াইয়ে তাদের আরও সুসংহত এবং কার্যকর করবে।
