রাজধানীর মিরপুরে মাদকবিরোধী অভিযানে এক দুর্ধর্ষ মাদক কারবারি রনিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। রবিবার রাতে পরিচালিত এই বিশেষ অভিযানে তার কাছ থেকে বিপুল পরিমাণ মাদকদ্রব্য, একটি দেশীয় অস্ত্র এবং মাদক বিক্রির নগদ অর্থ উদ্ধার করা হয়েছে। এই ঘটনাটি মিরপুর এলাকার মাদক প্রতিরোধ কার্যক্রমে একটি উল্লেখযোগ্য সাফল্য হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।
গ্রেপ্তার ও অভিযান
পুলিশের গোপন তথ্যের ভিত্তিতে, রবিবার রাত আনুমানিক ৯টা ৩০ মিনিটে মিরপুর মডেল থানা পুলিশ চিড়িয়াখানা রোডের ইস্টার্ন হাউজিং এলাকায় একটি সুনির্দিষ্ট অভিযান পরিচালনা করে। এই অভিযানে দীর্ঘদিনের কুখ্যাত মাদক ব্যবসায়ী হিসেবে পরিচিত রনিকে আটক করা হয়। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা অত্যন্ত সতর্কতার সাথে এই অভিযান সম্পন্ন করেন, যা এলাকায় মাদক চোরাচালানের বিরুদ্ধে পুলিশের দৃঢ় অঙ্গীকারের প্রতিফলন ঘটায়।
উদ্ধারকৃত সামগ্রী ও এর গুরুত্ব
গ্রেপ্তারের পর রনির দেহ তল্লাশি করে তার কাছ থেকে ১৫ গ্রাম হেরোইন উদ্ধার করা হয়েছে। উদ্ধারকৃত এই মাদকের বর্তমান বাজার মূল্য প্রায় দেড় লক্ষ টাকা বলে জানিয়েছে পুলিশ। শুধুমাত্র মাদকই নয়, অভিযানকালে তার কাছ থেকে একটি দেশীয় অস্ত্রও জব্দ করা হয়, যা তার অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের গভীরতা নির্দেশ করে। এছাড়াও, মাদক বিক্রির নগদ ২২ হাজার টাকা তার হেফাজতে পাওয়া যায়, যা তাৎক্ষণিকভাবে জব্দ করা হয়েছে। এই বিপুল পরিমাণ হেরোইন ও অস্ত্র উদ্ধার মিরপুরের মাদক সিন্ডিকেটকে বড় ধরনের ধাক্কা দেবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
রনির অতীত রেকর্ড ও আইনি প্রক্রিয়া
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ধৃত রনির বিরুদ্ধে মিরপুর মডেল থানায় এর আগেও মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে তিনটি গুরুতর মামলা চলমান রয়েছে। তার বিরুদ্ধে মাদকের কারবারে জড়িত থাকার সুদীর্ঘ ইতিহাস রয়েছে, যা তাকে এলাকার শীর্ষস্থানীয় মাদক কারবারিদের একজন হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছে। এই নতুন গ্রেপ্তারের পর তার বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন এবং অস্ত্র আইনে আরও একটি নতুন মামলা রুজু করা হয়েছে।
পুলিশের বক্তব্য
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে মিরপুর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ মহসীন সংবাদমাধ্যমকে জানান, “রনি একজন চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী। তার বিরুদ্ধে পূর্বের তিনটি মাদক সংক্রান্ত মামলা রয়েছে। তাকে আজই (সোমবার) যথাযথ আইনি প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে আদালতে পাঠানো হবে।” ওসি মহসীন আরও বলেন, মিরপুর এলাকাকে মাদকমুক্ত করতে পুলিশ দৃঢ় প্রতিজ্ঞ এবং এ ধরনের অভিযান ভবিষ্যতেও অব্যাহত থাকবে। এই গ্রেপ্তারের ফলে এলাকায় মাদক কারবারিদের মধ্যে একটি ভীতি সৃষ্টি হবে এবং এর ফলে মাদকাসক্তি কিছুটা হলেও কমে আসবে বলে আশা করা হচ্ছে।
