দেশের চারটি উপকূলীয় অঞ্চলের বাসিন্দাদের জন্য একটি জরুরি আবহাওয়ার পূর্বাভাস জারি করেছে বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর। বুধবার (০৫ নভেম্বর) সন্ধ্যা নাগাদ সর্বোচ্চ ৬০ কিলোমিটার বেগে ঝড়ো হাওয়া এবং বজ্রবৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানানো হয়েছে, যা সংশ্লিষ্ট এলাকার মানুষের মধ্যে কিছুটা উদ্বেগ সৃষ্টি করতে পারে।
আবহাওয়া অধিদপ্তর কর্তৃক প্রকাশিত এক বিশেষ নদীবন্দর পূর্বাভাসে, বুধবার সকাল ৯টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত সময়ের জন্য এই সতর্কতা জারি করা হয়েছে। আবহাওয়াবিদ কাজী জেবুন্নেছার স্বাক্ষর করা ওই পূর্বাভাসে সুনির্দিষ্টভাবে নোয়াখালী, কুমিল্লা, চট্টগ্রাম এবং কক্সবাজার জেলার নাম উল্লেখ করা হয়েছে। এসব অঞ্চলের ওপর দিয়ে দক্ষিণ/দক্ষিণ-পূর্ব দিক থেকে ঘণ্টায় ৪৫ থেকে ৬০ কিলোমিটার বেগে দমকা অথবা ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টিপাত হতে পারে। আকস্মিক এই ঝড়ো হাওয়া জনজীবন ও নৌচলাচলে সাময়িক প্রভাব ফেলতে পারে বলে সতর্ক করা হয়েছে।
নদীবন্দরে সতর্কসংকেত জারি
এই সম্ভাব্য প্রতিকূল আবহাওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে, উল্লেখিত চারটি জেলার নদীবন্দরসমূহকে ১ নম্বর সতর্কসংকেত প্রদর্শন করতে বলা হয়েছে। এই সতর্কসংকেত মূলত নদীবন্দরে হালকা ধরনের দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার ইঙ্গিত বহন করে। এর অর্থ হলো, নদীবন্দর এবং সংলগ্ন এলাকার ওপর দিয়ে ঝড়ো হাওয়া বয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে, নৌযানসমূহকে সতর্কতার সাথে চলাচল করতে অথবা প্রয়োজনে নিরাপদ আশ্রয় নিতে পরামর্শ দেওয়া হয়, যাতে কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা এড়ানো যায়।
দেশের সার্বিক আবহাওয়ার পূর্বাভাস: আগামী ১২০ ঘণ্টার চিত্র
এদিকে, আবহাওয়া অধিদপ্তর দেশের সার্বিক আবহাওয়ার পরিস্থিতি নিয়ে একটি ১২০ ঘণ্টার দীর্ঘমেয়াদী পূর্বাভাসও প্রকাশ করেছে। আজকের (বুধবার) জন্য প্রদত্ত পূর্বাভাস অনুযায়ী, দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে মিশ্র আবহাওয়া বিরাজ করবে।
পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, চট্টগ্রাম এবং সিলেট বিভাগের অনেক জায়গায় হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। পাশাপাশি, ঢাকা, ময়মনসিংহ এবং বরিশাল বিভাগের দু-এক জায়গায়ও বিচ্ছিন্নভাবে বৃষ্টি অথবা বজ্রবৃষ্টি হতে পারে। তবে, দেশের অন্যান্য অঞ্চলে সাময়িকভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া মূলত শুষ্ক থাকবে বলে জানানো হয়েছে। আবহাওয়ার এই পূর্বাভাস অনুযায়ী, সারাদেশে দিন ও রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকার সম্ভাবনা রয়েছে। ফলে, তাপমাত্রায় উল্লেখযোগ্য কোনো পরিবর্তন আসার সম্ভাবনা কম এবং বর্তমান তাপমাত্রাই বজায় থাকতে পারে।
