স্প্যানিশ লা লিগার শিরোপা দৌড়ে নিজেদের অবস্থান সুদৃঢ় এবং পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষস্থান দখলের অদম্য লক্ষ্য নিয়ে গেতাফের মাঠে পা রেখেছিল কার্লো আনচেলত্তির রিয়াল মাদ্রিদ। তবে গেতাফের শক্ত প্রতিরোধ ভাঙতে লস ব্লাঙ্কোসদের যথেষ্ট বেগ পেতে হয়েছে। শেষ পর্যন্ত, প্রতিপক্ষের খেলোয়াড় হারানোর সুযোগ কাজে লাগিয়ে এবং ফরাসি তারকা কিলিয়ান এমবাপ্পের একমাত্র গোলে ১-০ ব্যবধানে এক রুদ্ধশ্বাস জয় ছিনিয়ে নেয় রিয়াল, যা তাদের লা লিগা টেবিলের চূড়ায় বসিয়েছে।
গেতাফের প্রতিরোধ এবং মাদ্রিদের আধিপত্য
ম্যাচজুড়ে বল দখলে রেখে আধিপত্য বিস্তার করলেও গেতাফের রক্ষণ ভেদ করা রিয়ালের জন্য সহজ ছিল না। ম্যাচে ৭৬ শতাংশ বল রিয়ালের দখলেই ছিল, এবং তারা মোট ২৩টি শট নেয়, যার মধ্যে ১০টিই ছিল গোলমুখে। অপরদিকে, গেতাফে মাত্র ৭টি শট নিতে সক্ষম হয় এবং এর মধ্যে মাত্র একটি লক্ষ্যে রাখতে পারে। মাঠের খেলা বেশ কিছু সময় ধরে গতিহীন এবং জমে থাকা অবস্থায় এগোচ্ছিল, মনে হচ্ছিল যেন কোনো দেয়াল ভেঙে গোল আদায় করা সম্ভব হবে না। তবে, ফুটবল খেলার গতিপথ এক মুহূর্তেই বদলে যেতে পারে, এবং ঠিক সেটাই ঘটলো গেতাফের মাঠে।
ম্যাচের মোড় পরিবর্তনকারী মুহূর্ত ও এমবাপ্পের গোল
ম্যাচের ৭৬ থেকে ৮৪ মিনিটের মধ্যে গেতাফে নিজেদের দুই ফুটবলারকে হারায়, যা তাদের রক্ষণকে দুর্বল করে দেয়। এই সুযোগটিই কাজে লাগায় রিয়াল মাদ্রিদ। ঠিক এই সময়ের মাঝেই ম্যাজিক্যাল ফরোয়ার্ড এমবাপ্পে দলের জন্য জয়সূচক গোলটি এনে দেন। বদলি হিসেবে মাঠে নামা তরুণ তুর্কি আর্দা গুলার এর কাছ থেকে নিখুঁত পাস পেয়ে এমবাপ্পে বক্সে ঢুকে পড়েন এবং ঠান্ডা মাথায় বল জালে জড়িয়ে দেন। তার এই গোলই ম্যাচের ভাগ্য নির্ধারণ করে দেয় এবং রিয়াল মাদ্রিদ ১-০ ব্যবধানে জয় নিশ্চিত করে মাঠ ছাড়ে।
এমবাপ্পের গোলমেশিন এবং লিগ টেবিলের নতুন চিত্র
এই গোলটির মাধ্যমে কিলিয়ান এমবাপ্পে ক্লাব ও জাতীয় দল মিলিয়ে টানা ১১ ম্যাচে গোল করার এক অসাধারণ রেকর্ড গড়েন। তার এই ধারাবাহিক গোল করার ক্ষমতা দলের জন্য কতটা গুরুত্বপূর্ণ, তা আরও একবার প্রমাণিত হলো। এই জয় রিয়াল মাদ্রিদকে পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে নিয়ে গেছে। ৯ ম্যাচে আট জয় নিয়ে রিয়ালের সংগ্রহ এখন ২৪ পয়েন্ট। অন্যদিকে, সমান সংখ্যক ম্যাচ থেকে ২২ পয়েন্ট নিয়ে বর্তমান চ্যাম্পিয়ন বার্সেলোনা দ্বিতীয় স্থানে নেমে গেছে। এই জয় শুধু ৩টি পয়েন্টই এনে দেয়নি, বরং লা লিগা শিরোপা জয়ের পথে রিয়াল মাদ্রিদের আত্মবিশ্বাসকেও কয়েক গুণ বাড়িয়ে দিয়েছে।
