More

    নভেম্বরে দেশে ফিরবেন তারেক রহমান

    দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে যখন নির্বাচনী উত্তাপ বাড়ছে, ঠিক তখনই বিএনপি তাদের সাংগঠনিক প্রস্তুতিতে গতি সঞ্চার করেছে। আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে দলটির ভেতরের মহলে চলছে ব্যাপক কর্মযজ্ঞ। এরই অংশ হিসেবে, চলতি মাসের মধ্যেই প্রায় দুই শতাধিক আসনে একক প্রার্থীকে প্রাথমিক অনুমোদন বা ‘সবুজ সংকেত’ দেওয়ার চূড়ান্ত প্রক্রিয়া চালাচ্ছে বিএনপি। এর মাধ্যমে প্রার্থীরা নির্বাচনী মাঠে নিজেদের গুছিয়ে নেওয়ার এবং একনিষ্ঠভাবে প্রচারণার প্রস্তুতি শুরু করার সুযোগ পাবেন।

    একক প্রার্থী চূড়ান্তকরণ ও তারেক রহমানের প্রত্যাবর্তনের প্রত্যাশা

    বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ সম্প্রতি রাজধানীর গুলশানে নিজ বাসভবনে সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময়কালে এই গুরুত্বপূর্ণ তথ্য জানান। তিনি উল্লেখ করেন, দলীয় নির্দেশনা অনুযায়ী একক প্রার্থীর তালিকা তৈরির কাজ এখন প্রায় শেষ পর্যায়ে। এর মধ্য দিয়ে বিএনপি একটি সুসংগঠিত এবং ঐক্যবদ্ধ নির্বাচনী লড়াইয়ের দিকে এগোতে চাইছে।

    একই আলাপচারিতায়, সালাহউদ্দিন আহমদ দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের দেশে ফেরার বিষয়েও আশাবাদ ব্যক্ত করেন। তিনি জানান, আগামী নভেম্বর মাসের মধ্যেই তারেক রহমান দেশে ফিরতে পারেন। তার প্রত্যাবর্তনের সুনির্দিষ্ট তারিখ জানতে চাইলে তিনি বলেন, “খুব শিগগির নির্ধারিত তারিখটি আপনারা জানতে পারবেন। আশা করি নভেম্বরের মধ্যেই তিনি দেশে ফিরবেন।” তারেক রহমানের সম্ভাব্য প্রত্যাবর্তন দলের নেতাকর্মীদের মধ্যে নতুন উদ্দীপনা সৃষ্টি করবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

    আরপিও সংশোধনীর বিরুদ্ধে বিএনপির তীব্র আপত্তি

    সাম্প্রতিক সময়ে অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদে গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ (আরপিও) সংশোধনীর যে অনুমোদন দেওয়া হয়েছে, তা নিয়ে বিএনপির পক্ষ থেকে তীব্র আপত্তি জানানো হয়েছে। সালাহউদ্দিন আহমদ এ প্রসঙ্গে বলেন, এই বিতর্কিত আরপিও সংশোধনীতে পরিবর্তন আনার জন্য সরকার ও নির্বাচন কমিশনকে আনুষ্ঠানিক চিঠি দেওয়া হবে।

    নতুন অনুমোদিত সংশোধনীতে যে বিধানটি নিয়ে বিএনপি সবচেয়ে বেশি অসন্তোষ প্রকাশ করেছে, তা হলো— কোনো রাজনৈতিক দল জোটবদ্ধভাবে নির্বাচনে অংশ নিলেও তাদের নিজস্ব দলীয় প্রতীকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে হবে। এই বিধানটি গত বৃহস্পতিবার অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদ কর্তৃক অনুমোদিত হয়েছে। বিএনপির মতে, নির্বাচন সংস্কার কমিশন এবং বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সাথে আলোচনার সময় নির্বাচনী ব্যবস্থা সংস্কার সংক্রান্ত অনেক বিষয়েই সর্বসম্মত সিদ্ধান্ত হয়েছিল। কিন্তু নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে আইন মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে নির্বাচনী আচরণবিধি ও আরপিও’র যে খসড়া উত্থাপন করা হয়, তাতে যে পরিবর্তন আনা হয়েছে, সে বিষয়ে বিএনপির কোনো রকম সম্মতি ছিল না।

    সালাহউদ্দিন আহমদ জোরালোভাবে বলেন যে, জোটবদ্ধ নির্বাচনে যদি ছোট রাজনৈতিক দলগুলোকে তাদের নিজস্ব প্রতীকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে বাধ্য করা হয়, তবে এটি তাদের জোটবদ্ধ হতে নিরুৎসাহিত করবে। এর ফলে, বৃহত্তর রাজনৈতিক জোট গঠনের প্রক্রিয়া বাধাগ্রস্ত হবে এবং নির্বাচনী সমীকরণে অনাকাঙ্ক্ষিত জটিলতা সৃষ্টি হতে পারে, যা গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার জন্য মোটেই শুভকর নয় বলে বিএনপি মনে করে।

    Recent Articles

    Related Stories

    Leave A Reply

    Please enter your comment!
    Please enter your name here