ইংলিশ ফুটবলের সুউচ্চ মঞ্চে নিজেদের দক্ষতা প্রমাণ করা হামজা চৌধুরী বাংলাদেশের ফুটবল অঙ্গনে এক নতুন দিগন্ত উন্মোচন করেছেন। তার লাল-সবুজ জার্সি গায়ে জড়ানো যেন দেশের ফুটবলে এক অভূতপূর্ব জনজোয়ার এনে দিয়েছে, যা দীর্ঘদিনের প্রতীক্ষিত প্রবাসী ফুটবলারদের নিয়ে আসার প্রক্রিয়াকে গতিশীল করেছে। হামজা চৌধুরীর দেখানো পথ ধরে ইতোমধ্যেই কানাডিয়ান লিগের সফল তারকা শমিত সোম জাতীয় দলে যুক্ত হয়েছেন এবং প্রতিশ্রুতিশীল খেলোয়াড় জায়ান আহমেদও দলের জার্সি গায়ে তাঁর অভিষেক সম্পন্ন করেছেন। এই ধারাবাহিকতায় এবার বাংলাদেশের ফুটবলে যোগদানের আগ্রহ প্রকাশ করেছেন আরও দুই প্রতিভাবান প্রবাসী ফুটবলার, যা দেশের ফুটবলের ভবিষ্যৎকে আরও উজ্জ্বল করে তুলছে।
ট্রেভর ইসলাম: নতুন এক সম্ভাবনা
প্রথমজন হলেন ব্রিটিশ বংশোদ্ভূত ও যুক্তরাষ্ট্রে বেড়ে ওঠা তরুণ ফরোয়ার্ড ট্রেভর ইসলাম। তিনি বর্তমানে স্ট্যানফোর্ড মেন’স সকার ক্লাব-এর একজন গুরুত্বপূর্ণ সদস্য এবং তাঁর ক্রীড়া নৈপুণ্য এরই মধ্যে নজর কেড়েছে। ট্রেভরের বাংলাদেশের হয়ে খেলার আগ্রহ প্রকাশের পর থেকেই তাঁর পাসপোর্ট তৈরির প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। তবে তাঁর এজেন্ট আবিদ আনোয়ার নিশ্চিত করেছেন যে, এই প্রক্রিয়াটি কিছুটা সময়সাপেক্ষ। ট্রেভরের বাবা-দাদার পাসপোর্ট তৈরি না হওয়া পর্যন্ত তাঁর নিজস্ব পাসপোর্ট তৈরির কাজ শুরু করা যাচ্ছে না। আবিদ আনোয়ারের তথ্য অনুযায়ী, আগামী বছরই ট্রেভরকে বাংলাদেশ জাতীয় দলের জার্সিতে মাঠে দেখা যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে, যা দেশের আক্রমণভাগে এক নতুন শক্তি যোগ করবে বলে আশা করা হচ্ছে।
জায়ান হাকিম: জটিলতা সত্ত্বেও আশার আলো
অন্যদিকে, আরেক প্রবাসী ফরোয়ার্ড জায়ান হাকিমকে নিয়েও আনুষ্ঠানিক প্রক্রিয়া জোরকদমে এগিয়ে চলছে। তারও বাংলাদেশের ফুটবলে যোগদানের প্রবল আগ্রহ রয়েছে। আবিদ আনোয়ার জানিয়েছেন, এই প্রক্রিয়ায় কিছু জটিলতা বিদ্যমান থাকলেও তারা আশাবাদী যে কিউবার মতো কঠিন পরিস্থিতির উদাহরণ টেনেও শেষ পর্যন্ত সফল হওয়া সম্ভব হবে। জায়ান হাকিমের অন্তর্ভুক্তি দেশের আক্রমণভাগকে আরও শক্তিশালী করবে এবং কৌশলগত বৈচিত্র্য আনবে বলে মনে করা হচ্ছে। এই দুই তরুণ প্রবাসী খেলোয়াড়ের আগমন বাংলাদেশের ফুটবলে নতুন প্রাণসঞ্চার করবে এবং জাতীয় দলকে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে আরও প্রতিযোগিতামূলক করে তুলবে এমনটাই প্রত্যাশা ফুটবলপ্রেমীদের।
