শিক্ষা খাতে পারস্পরিক সহযোগিতা ও জ্ঞান বিনিময়ের এক নতুন দিগন্ত উন্মোচন করতে পাকিস্তান এবং চীন একটি গুরুত্বপূর্ণ চুক্তি স্বাক্ষর করেছে। দুই বন্ধুপ্রতিম রাষ্ট্রের মধ্যে শিক্ষা ও গবেষণা ক্ষেত্রে সম্পর্ক আরও নিবিড় করার লক্ষ্যে এই পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে।
শিক্ষা ক্ষেত্রে মাইলফলক: পিআইডিই ও শিনজিয়াং বিশ্ববিদ্যালয়ের চুক্তি
সম্প্রতি পাকিস্তানের অন্যতম শীর্ষস্থানীয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান পাকিস্তান ইনস্টিটিউট অব ডেভেলপমেন্ট ইকোনমিকস (পিআইডিই) এবং চীনের স্বনামধন্য শিনজিয়াং বিশ্ববিদ্যালয় একটি সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) স্বাক্ষর করেছে। এই চুক্তিটি দুই দেশের মধ্যে শিক্ষাগত ও গবেষণামূলক সম্পর্ক জোরদার করার ক্ষেত্রে এক নতুন মাইলফলক হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।
চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানটি চীনের উরুমচি শহরে অবস্থিত শিনজিয়াং বিশ্ববিদ্যালয়ে এক জমকালো আয়োজনে অনুষ্ঠিত হয়। পাইডির পক্ষ থেকে প্রকাশিত এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে যে, উভয় উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানই তাদের শিক্ষামূলক ও গবেষণা কার্যক্রমের পরিধি সম্প্রসারণে দৃঢ় অঙ্গীকার ব্যক্ত করেছে। এর মাধ্যমে পারস্পরিক জ্ঞান ও অভিজ্ঞতা বিনিময়ের পথ সুগম হবে।
আলোচিত বিষয়বস্তু ও পাকিস্তানের প্রতিনিধিত্ব
এই গুরুত্বপূর্ণ অনুষ্ঠানে পাকিস্তানের প্রতিনিধিত্ব করেন পাইডির সুযোগ্য উপাচার্য, ড. মুহাম্মদ নাদিম জাভেদ। আলোচনা পর্বে যৌথ গবেষণা প্রকল্প হাতে নেওয়া, শিক্ষক-শিক্ষার্থী বিনিময় কর্মসূচি চালু করা এবং সংশ্লিষ্ট সক্ষমতা উন্নয়নের মতো বিষয়গুলো অন্তর্ভুক্ত ছিল। বিশেষভাবে, চীন-পাকিস্তান অর্থনৈতিক করিডর (সিপিইসি) এবং বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভ (বিআরআই)-এর আওতায় শিক্ষামূলক সহযোগিতার ওপর জোর দেওয়া হয়। এই অর্থনৈতিক ও অবকাঠামোগত উদ্যোগগুলো কেবল বাণিজ্যিক পথই নয়, বরং জ্ঞান ও সংস্কৃতির সেতুবন্ধনও তৈরি করছে।
ভবিষ্যৎ সম্পর্কের নতুন অধ্যায়
ড. জাভেদ এই সমঝোতা স্মারকটিকে দুই দেশের মধ্যে শিক্ষা ও গবেষণাক্ষেত্রে বিদ্যমান সম্পর্ককে আরও সুদৃঢ় করার একটি গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক হিসেবে উল্লেখ করেছেন। তার মতে, এই চুক্তি শুধুমাত্র দুটি বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে সংযোগ স্থাপন করবে না, বরং পাকিস্তান ও চীনের মধ্যে দীর্ঘদিনের ঐতিহাসিক বন্ধুত্বের বন্ধনকে আরও মজবুত করবে এবং ভবিষ্যতের জন্য নতুন সম্ভাবনার দ্বার উন্মোচন করবে। এই উদ্যোগ উভয় দেশের শিক্ষার্থীদের জন্য উচ্চশিক্ষা ও গবেষণার নতুন সুযোগ তৈরি করবে এবং আন্তর্জাতিক অঙ্গনে জ্ঞানচর্চার ক্ষেত্রে এক নতুন দৃষ্টান্ত স্থাপন করবে বলে আশা করা হচ্ছে।
